অশ্লীল ও অশালিন টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সহযোগীসহ দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার দুপুরে মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে গ্রেফতারকৃতদেরকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়। এরা হলেন- টিকটক-লাইকি তারকা হিসেবে পরিচিত তানিশা ও তিশা। আর তাদের সহযোগিরা হলেন মেহেদী ও রাব্বি।
তারা অশালীনভাবে পদ্মা গার্ডে, জিয়া পার্ক, বিমান চত্তর, টি-বাঁধ ও আই বাঁধ এলাকায় টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে আসছিল।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী জানান, টিকটক-লাইকি গ্রুপের হয়ে পায়েল ও তানিশা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিউজিক ভিডিও করার জন্য তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করতো। তাদের ফাঁদে পড়া এক ভিকটিমকেও উদ্ধার করে পুলিশ। ভিডিও তৈরির জন্য তাকে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে দেয়া হতো।
গ্রেপ্তারকৃত পায়েল ও তানিশার কাছ থেকে টিকটক-লাইকি গ্রুপের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ গ্রুপে জড়িত অনেকের নামও পাওয়া গেছে, তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাইকি গ্রুপের ভিডিও তৈরির মূল হোতা গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান জানিয়েছে, লাইকি ভিডিও তৈরি করে প্রতি মাসে সে অনেক টাকা আয় করতো। টাকার প্রলোভন দিয়ে অভাবি কিশোর-কিশোরীদের দিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করতো।
আবু কালাম সিদ্দিকী বলেন, রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে নৈতিকভাবে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে। অশ্লীল ও আপত্তিকর টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ ভিডিও সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও যুবক সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসাসহ এ ধরনের ভিডিও কিশোর অপরাধের মতো ঘটনা উস্কে দিচ্ছে।
এর আগে গত ২ জুন রাজশাহী নগরীতে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ নয়জনকে গেপ্তার করা হয়েছিল। কিশোর অপরাধ, অশ্লীলতামুক্ত শান্তির রাজশাহী শহর প্রতিষ্ঠায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।