আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা দেখা দিতে যাচ্ছিল, আপাতত তিন মাসের জন্য তার সমাধান হয়েছে। আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির তেহরান সফরে দুপক্ষের আলোচনা শেষে এ সংক্রান্ত সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইরান ও আইএইএর পক্ষ থেকে রোববার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিদর্শকরা আগামী তিন মাস ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ‘জরুরি’ পরিদর্শন কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে– ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট গ্রোসির আগেরবারের তেহরান সফরের সময় আইএইএর সঙ্গে ইরানের যে সমঝোতা হয়েছে তার বাস্তবায়ন কাজ চালিয়ে যাবে দুপক্ষ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সংসদে পাস হওয়া আইনের ভিত্তিতে ইরান আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এনপিটির সম্পূরক প্রটোকল বাস্তবায়ন স্থগিত রাখবে। এর অর্থ হচ্ছে– আইএইএর পরিদর্শকরা পূর্বঘোষণা ছাড়া আর ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারবেন না। তবে ইরান আগের মতো দুপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সেফগার্ড অ্যাগ্রিমেন্ট’ পুরোপুরি মেনে চলবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে– আগামী তিন মাস আইএইএর পরিদর্শকরা পূর্বঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী ইরানে তাদের পরিদর্শন কাজ চালাতে পারবেন। ইরানের সংসদ গত ডিসেম্বরে এমন একটি আইন পাস করে, যার ফলে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে আমেরিকা ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে প্রেসিডেন্ট রুহানির সরকার সম্পূরক প্রটোকল বাস্তবায়ন স্থগিত করে দিতে বাধ্য থাকবেন।
ওই আইনের ভিত্তিতে ইরান গত সপ্তাহে আইএইএকে জানিয়ে দেয়– ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তেহরান পূর্বঘোষণা ছাড়া আর কোনো পরিদর্শক গ্রহণ করবে না। ইরানের ওই আলটিমেটাম হাতে পাওয়ার পর আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি শনিবার তড়িঘড়ি করে তেহরানে ছুটে আসেন। শেষ পর্যন্ত তার ইরান সফর ফলপ্রসূ হয় বলে দুপক্ষ ঘোষণা করেছে।