ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানি দিতে হবে, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে অন্য কোথাও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের নগর ভবনে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণসংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এবার কোরবানির প্রথম দিনেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় তিন লক্ষাধিক পশু কোরবানি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৭২টি নির্ধারিত স্থানে মাত্র ৪ হাজার ১৪১টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহায় যত্রতত্র পশু কোরবানি করা থেকে বিরত রাখার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রয়োজনে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে রাত ১২টার মধ্যেই ডিএনসিসির সমগ্র এলাকায় কোরবানির ১ম দিনের ১১ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন বর্জ্যের শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কোরবানির পশুর হাটের পাশেই স্লটারিং হাউস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এ বছর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়, কন্ট্রোলরুমের নম্বরগুলো হলো- ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪। এ ছাড়া ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সে জন্য নগরবাসীর মাঝে যথাসময়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, পরীক্ষামূলকভাবে পরিবেশসম্মত ও পচনশীল আরো ২০ হাজার বায়ো ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার আয়তনের ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।