আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাসে সুফিবাদভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “হাকানের শান্তিযাত্রা” প্রদর্শীত হয় গতকাল মঙ্গলবার। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দূতাবাসের নবনির্মিত বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশি ও তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তুরস্কের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল এবং দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট প্রযোজক ও পরিচালক শাহরিয়ার কবির। দূতাবাসের উপপ্রধান মো. রইস হাসান সারোয়ার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে।
প্রধান অতিথি শাহরিয়ার কবির সুফিবাদ ও তাঁর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র “হাকানের শান্ত্মিযাত্রা” সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সুফিবাদের বিস্তার ও বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সুফিবাদ ও সুফি সাধকদের অবদানের কথা প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বিভিন্ন উদাহরণসহ তুলে ধরেন। এছাড়া, তিনি তুরস্কের প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ ও সুফী মাওলানা জালালউদ্দীন রুমী, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার সুফী সাধকগণ বিশেষত বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুফী সিলেটের হযরত শাহ্জালাল এবং ফকির লালন শাহ্-এর কথা সবার সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মান্নান বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ককে আরো সুসংহত ও জোরদার করতে ভবিষ্যতে দূতাবাসে এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সুফিবাদভিত্তিক “হাকানের শান্তিযাত্রা” শীর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ও তা দূতাবাসে প্রদর্শনীর জন্য শাহিরয়ার কবিরের উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করেন এবং এধরনের বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য উপস্থিত সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।
তিনি বলেন করেন- বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় ইসলামের বিস্তার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সুফিবাদের যে ভূমিকা তা অনস্বীকার্য এবং তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।