অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ডের যারা দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন এমন ৮৩.৯ শতাংশ মানুষ ভাইরাসটির অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরন প্রতিরোধে সক্ষম। এসব ব্যক্তির শরীরে ডেল্টা ধরনকে প্রতিরোধের মতো প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যালর রিসার্চ (আইসিএমআর)। সংস্থাটি বলছে, যাদের নমুনা সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৬.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে তেমন অ্যান্টিবডির খোঁজ মেলেনি, যা ডেল্টা প্রজাতিকে রুখতে পারে।
কিন্তু যারা কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ডেল্টা প্রজাতির মোকাবিলায় সক্ষম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। তবে যারা এই টিকার দুটি ডোজ দিয়েছেন তাদের ৮৩.৯ শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান টি জেকব জন বলেন, খুঁজে পাওয়া যায়নি মানে একেবারে নেই, তা নয় কিন্তু। অ্যান্টিবডি এতটাই কম তৈরি হয়েছে যে তা ধরা পড়েনি। অর্থাৎ ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হৃদরোগের সমস্যা যাদের আছে এবং ৬৫-ঊর্ধ্ব যাদের বয়স, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি কম তৈরি হয়। পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে তাদের হয়তো তৃতীয় টিকা নিতে হতে পারে।