সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

ছয় বছরেই শহররক্ষা বাঁধে ধস

বরিশাল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৭৬ পাঠক পড়েছে

বরিশাল নগরীর স্পিডবোট ঘাটসংলগ্ন বাঁধের পাশে পিঠা বিক্রি করেন মনিরুন্নাহার। তিনি বলেন, আমাগো এই সাইডের বাঁধ ভাঙ্গা বছর তিনেকতো হইবেই। আমরা যে রাস্তার উপর দিয়া হাঁটতাম, হেডাও ভাইঙ্গা গেছে বাঁধ ডাইব্বা যাওনে। এয়া সংস্কারও হয়না, কেউ দেখতেও আয় না।

নির্মাণের ছয় বছরেই একাধিকস্থানে ধসে গেছে বরিশালের শহররক্ষা বাঁধ। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। ফলে ঝুঁকিতে পরেছে বাঁধসংলগ্ন এলাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁধের নগরীর ৩০ গোডাউন বধ্যভূমিসংলগ্ন একটি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পেছনের গেটসংলগ্ন একটি, মেঘনা তেলের ডিপোসংলগ্ন স্থানে একটি, মুক্তিযোদ্ধা পার্কের আশপাশে আরও চারটিসহ মোট সাতটি স্থানে বড় ধস রয়েছে। দেবে গেছে বাঁধের সড়ক।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে কীর্তনখোলা নদীর পারে সাগরদী খালের মুখ থেকে চরকাউয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে বাঁধ ও বাকি টাকা দিয়ে বাঁধের উপর সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। নদী দখলের অভিযোগ ওঠায় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নেয়ায় হাইকোর্টে একটি রিট হলে বাঁধের কাজ শেষপর্যায়ে এসে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে সাগরদী খালের মুখের ছোট ব্রিজ ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নিচ পর্যন্ত বাঁধ ও সড়কের কাজ ঝুলে আছে। পরবর্তীতে যতটুকু বাঁধ নির্মাণ হয়েছে তার উপরেই সড়ক তৈরি করেছে সিটি কর্পোরেশন।

সচেতন নাগরিকদের মতে, সম্ভবত এখানেও বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। এই বাঁধে ত্রুটি দেখা গেছে আরও ২/৩ বছর আগে থেকেই। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এগুলো ভালোভাবে সংস্কার করা উচিত। এমনভাবে পরে থাকলে শহর পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে পরবে।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের ধসের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে এবং ধসের জায়গাগুলো প্রকৌশল বিভাগকে পরিদর্শনের জন্য বলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580