টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাতের গুলিতে একজন স্থানীয় গ্রামবাসি হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে একজন স্থানীয় নাগরিক ও এক রোহিঙ্গা। নিহত মোহাম্মদ হোসেন (৩০) হ্নীলার জাদিমোরা এলাকার বাচা মিয়ার পুত্র।
গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা জাদিমোরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে সি ব্লকের ৮ এর আশ্রিত গোলাম মুজিবের পুত্র মোহাম্মদ আয়াজ ও স্থানীয় ব্যক্তি দমদমিয়ার মৃত মো: ইমানের পুত্র রশিদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার রাতে দমদমিয়া নেচারপাক ও জাদিমোরা ২৭নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ডাকাত জকির গ্রুপের সদস্যরা এক ব্যক্তিকে অপহরণ করতে দমদমিয়া নেচারপাক ও জাদিমোরা ২৭নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আসে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ হোসেন ও আয়াজ নামে ২জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে মোহাম্মদ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বুকে গুলি লেগেছে। অপরজন রোহিঙ্গা নাগরিক আয়াজের মুখে ছড়াগুলি লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি বলেন, ওই ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও দুজনকে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নেয়ার পর রাত ১১টায় মোহাম্মদ হোসেন মারা যায়।