করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ডিজিটাল পশুর হাট ও অন্যান্য অনলাইন হাট ছাড়াও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপজেলাভিত্তিক হাট আয়োজন করেছে। শুরুতে অনলাইন হাটে পশু বিক্রি তেমন বেশি না হলেও পরবর্তী সময়ে বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে।
এই হাটগুলোতে ৮ জুলাই থেকে সোমবার ১২ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনে বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৮০টি পশু। অথচ ২ জুলাই শুরু হওয়া অনলাইন হাটে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩০৮টি পশু বিক্রি হয়েছিল।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত অনলাইনে মোট পশু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৮টি, যার অর্থমূল্য ১ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ টাকা।
অধিদফতরের তথ্যমতে, ১২ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। বিভাগটিতে ৮৭ হাজার ৩৫৭টি গরু-মহিষ এবং ১৭ হাজার ৬৬৭টি ছাগল-ভেড়া অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকায় মোট ১৬ হাজার ৯৭৬টি গরু-মহিষ এবং ১ হাজার ৩৫৪টি ছাগল-ভেড়া বিক্রি অনলাইনে হয়েছে। অনলাইনে বিক্রির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ বিভাগ। সেখানে মাত্র ৩২২টি গরু-মহিষ এবং মাত্র ২৭টি ছাগল-ভেড়া অনলাইনে বিক্রি হয়েছে।
সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪৩টি প্ল্যাটফর্ম থেকে অনলাইন হাট পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে অধিকাংশই ফেসবুকভিত্তিক। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মীদের নিজ এলাকার খামারিদের খামার ঘুরে পশুর ছবি অনলাইনে আপলোড দেওয়ার কাজে নিয়োজিত করেছে।
ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী রফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা উপজেলাভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেছি, যেমন ঢাকা মহানগর ছাড়াও ঢাকায় পাঁচটি উপজেলা আছে। এই ছয় এলাকার জন্য আলাদা ছয়টি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। কর্মীরা দিনে ৫ থেকে ১০টি পশুর ছবি আপলোড করছেন।’
এখন পর্যন্ত অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মোট ১০ লাখ ৩০ হাজার ৫৯০টি পশুর ছবি আপলোড করা হয়েছে।