ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে বৈষম্যর অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একজন শিক্ষার্থী উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে। মঙ্গলবার এক নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার ও কলা অনুষদের ডিন বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে চলতি সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মোহাইমিনুলের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার। এতে বলা হয় কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, যে বিষয় পর্যায়ক্রমের ফর্মে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সর্বনিম্নটি হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনিতদের দেয়া হবে। পরবর্তিতে সাক্ষাৎকারের দিন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য মনোনীত করা হয়। যদিও উক্ত বিষয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী না থাকায় তার পছন্দক্রমে বিষয়টি ছিলনা। অন্য বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আসন খালি থাকার পরেও তাকে এ বিষয়ে ভর্তি হতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ১১৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত উপরের মেধাক্রমের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। যার প্রেক্ষিতে ফাঁকা আসনে পছন্দক্রমের বিষয় অনুযায়ী ভর্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দানের জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অগ্রাহ্য করেন। যদিও সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। নোটিশে পছন্দক্রমের সর্বনিম্ন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দকৃত ১১৯ টি আসন পূর্ণ ও অভ্যন্তরীন মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়।