বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট জঙ্গি হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছে র্যাব। একই সঙ্গে নারীদের হেনস্থা ঠেকাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে এলিট ফোর্সটি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিচালনা করা হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুরে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) কর্নেল কে এম আজাদ, আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন চৌধুরী, র্যাব-২ এর অধিনায়ক আবু নাঈম মো. তালাত ও র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। ডিজি বলেন, গত দুই বছর আমরা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতে পারিনি। তবে এবার সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
এসময় তিনি বৈশাখে নারীদের হেনস্থা ঠেকাতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান। বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে হয়রানি, নারীদের উত্ত্যক্তের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে র্যাব। কারণ প্রতিবার যেখানে গ্যাদারিং হয় ওখানে নারীদেরকে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটে। এজন্য ইভটিজিং রোধে র্যাবের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
তিনি বলেন, কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার স্বীকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাবকে জানাবেন। আমরা কঠোর হস্তে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। র্যাব ডিজি বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গিদের যে কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।
এছাড়াও ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে গুজব, উস্কানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছেও বলেও জানান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। র্যাবের পক্ষ থেকে ডগ-স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, কমান্ডো টিম, হেলিকপ্টার টিম, সাদা পোশাকের সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। একই সঙ্গে রমনা পার্কের লেকে থাকবে নৌবাহিনীর টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।