বিআইডব্লিউটিসিতে চলছে হরিলুট। খোদ প্রধান প্রকৌশলী গফুর সরদারের সার্বিক তত্বাবধায়নে উন্নয়ন বা সেবার নামে বহুদিন ধরে প্রতিনিয়ত দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে লুটপাট চালালেও দেখার কেউ নেই। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংস্থার উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিগত সময় দূর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন একাধিকবার।
এছাড়াও ডকওয়েড-১ সোনাচরা নারায়ণগঞ্জ কর্মরত থাকাকালীন দূর্নীতির দায়ে ইউনিয়ন কর্তৃক তার বিরুদ্ধে আন্দোলন মিছিল সংগ্রাম করে তাকে সেখান থেকে বিতাড়িত করেন। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে মেনেজ করে প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন। সেই থেকে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন বর্তমানপ্রধান প্রকৌশলী গফুর সরদার। দূর্নীতিবাজ এতটাই শক্তিশালী যে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাদেরকে চাকুরীচ্যুত, বদলীসহ কোনো না কোনো শাস্তি দিয়ে হয়রানী করা হয়, যার ফলে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়। সংস্থায় শ্রমিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভিতরে তীব্র আলোড়ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
প্রধান প্রকৌশলী গফুর সরকারকে যখন দূর্নীতির দায়ে দুদকের সমনজারী করা হয় তখন তার চার্জশীট, সাসপেন্ড, কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং সর্তকর্তার কোনটার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি দুদক, অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয়। দুদকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির এই প্রধান প্রকৌশলী। সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মিয়াও প্রধান প্রকৌশলী গফুর সরদারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যে কারনে প্রধান প্রকৌশলী দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য পরিণত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি’কে। বিগত সময় (মতিন, মনিরুল হক জাহাজের) পুনর্বাসন কাজে এলডিএ কর্তন না করে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড এর বিল পরিশোধ করেন যাতে সংস্থার সরকারি আর্থিক ক্ষতি হয় ১৩ কোটি টাকা, পরবর্তীতে বিআইডব্লিটিসি থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কমিটি কিন্তু ১৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধে সত্যতা মিলে এবং তদন্ত কমিটি আব্দুল গফুর সরদারকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।
উক্ত ১৩ কোটি টাকা ৫০% টাকা আত্মসাৎ করেছেন কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড এর মালিকের সাথে আঁতাত করেন প্রকাশ পায় বিআইডব্লিউটিসি’তে। অদৃশ্য কারনে ও প্রধান প্রকৌলীর আব্দুল গফুরের অবৈধ টাকার প্রভাবে সেই সকল তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে নাই আজও পর্যন্ত। টাকার প্রভাবে ফাইলটি থামাচাপা দিয়ে রেখেছেন আব্দুল গফুর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআইডব্লিটিসি একাধিক কর্মকর্তা ও ঠিকাদারগণ আজকের সংবাদকে জানান প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল গফুর সরদার ১০% ঘুষ ছাড়া প্রকৌশলী বিভাগের ঠিকাদারদের কোন ফাইলে স্বাক্ষর করেন না।
তার এই অবৈধ দাবী পুরন করতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করেন। এছাড়াও বিগত সময় অরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী থেকে দূর্নীতিবাজ আব্দুর গফুর সরকার কে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর পদে পুরস্কৃত করেছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যানের যোগসাজসে। আব্দুল গফুর সরদার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বজালকুরী এলাকায় আটকাঠা জমি ক্রয় করেছেন তার স্ত্রীর নামে। এছাড়াও তার মেয়ের নামে মিরপুর-২ এ কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। তার দেশের বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ উপজেলায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছেন নামে-বেনামিতে। যা দুদক কর্তৃক তদন্ত করলেই তার বাড়ি, গাড়ি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খোজ মিলবে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে মিটিংএ আছি বলে লাইনটি কেটে দেন।