শাহিদা ফাল্গুনী
চিতার অপেক্ষায় রাখা লাশে
ক্ষুধার্ত কুকুরের ক্ষুরধার দাঁত- কেটে খায় বয়োজেষ্ঠ্যর স্নেহ।
এখানে ধর্মব্যবসা, পুঁজিতে বড়ো লোকসান গুনে চলেছে লাশের মিছিলে।
এখানে রাজনীতিরখেলা বুক চিতিয়ে,
বড়ো অজ্ঞতায় ঘরে তুলে এনেছে অদৃশ্য বিষ।
বোকা জনতার উন্নয়ন, যোগ আর প্রাণায়ামে মিটে গেলো।
ওরা অক্সিজেন খুজে খুজে ফুসফুস ক্লান্ত করে, বড়ো বড়ো চোখে,
শেষবারের মতো দেখে নিলো- ওদের গুরু বা নেতার অক্ষমতা।
আমরা দূরে থেকে চিতার আগুন দেখছি ঠান্ডা চোখে।
এতো মৃত্যু, এতো কষ্ট, এক ফোঁটা অক্সিজেন এর জন্য
বুকের পাজর ওঠে-নামে হাপরের মতো।
চোখের সামনে চল্লিশটা লাশ দেখছি,গঙায় ভেসে এসেছে।
ওরা কারা? কাদের হলো না গোর বা কারা পেল না চিতা?
ওরা আমাদের পর নয়। ওরা আমাদেরই লোক।
কবি ইদ কোথায়? আমি তো দেখছি হাহাকার।
আমিতো শুনতে পাচ্ছি বিষন্ন বাতাসে কান্নার রোল।
যে মেয়েটি পিতাকে একটু অক্সিজেন দিতে পারে নি বলে,
ঝাঁপিয়ে পড়েছে চিতার উপর-আমিতো দেখছি তার দগ্ধ শরীর।
ইদ কোথায়?
দগ্ধ হয় মানুষ, পোড়ে না অন্ধ ধর্মাচার,
দুলে না গালভরা বুলি ঝাড়া- ঝড়ো রাজনীতি।
শংকিত আমি, সাধারণ বলে।
কোন শংকা নেই রাজ-মজলিশে।
প্রহসনের পরিপত্র মহামারিতে- বাঁচাতে ব্যস্ত কেবল অর্থনীতি।
ফেরিতে,মাইক্রোবাসে,ট্রাকে আর প্রাইভেট কারে
মহাসড়কে আঁকা শ্রেণীসংগ্রাম -ভুল রঙ-তুলিতে।
ইদ কোথায় কবি? জ্বলছে জেরুজালেম। পুড়ছে মানুষ।
কখন,কোথায়, কোন দেশে আছে আর মানুষের ইদ?