ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড গ্রহণকারীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তবে ভারত থেকে সেই দেশে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকারও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন রয়েছে ভারতের ভ্যাকসিন ছাড়পত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারে।
যুক্তরাজ্যে প্রবেশের গাইডলাইনে সম্প্রতি কোভিশিল্ডকে অনুমোদিত ভ্যাকসিন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে আশা করা হচ্ছিল, এ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার পর আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
তবে কোভিশিল্ড অনুমোদন পেলেও ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীয়তা এখনই নাকচ করে দেয়নি যুক্তরাজ্য।
এ ব্যাপারে ভারত সরকারের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলার পর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে তাদের কোনো সন্দেহ নেই। তবে সন্দেহ রয়েছে ভারত থেকে সেদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন ছাড়পত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভ্যাকসিন ছাড়পত্রের স্বীকৃতির ব্যাপারেও ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করছে তারা।
ভারত থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলেও কমপক্ষে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া সেদেশে করতে হয় করোনা পরীক্ষাও। এসব কারণে ভারত থেকে যুক্তরাজ্যগামীদের মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ হচ্ছে।
এর আগে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের নানা টালবাহানায় চরম ক্ষুব্ধ হয় ভারত। কারণ, এটিই তাদের প্রধান টিকা। ভারতীয় জনগণকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ডের অন্তত ৭২ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন নিয়ম ঘোষণা করে। যেখানে কিছু দেশ থেকে আগত নাগরিকদের দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে আইসোলেশনে থাকতে হবে না বলা হয়। কিন্তু সেই তালিকায় নাম ছিল না ভারতের। এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় নয়াদিল্লি।