বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো ৩১২টি ভেন্টিলেটর দেশে আসছে। বুধবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ভেন্টিলেটর বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
নিউইয়র্ক থেকে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান।
ডা. মাসুদুল হাসান, নেফ্রলজিস্ট প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক, প্রফেসর ডা. ফাতিমা আহমেদ, কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান, জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা মাহমুদ উস শামস চৌধুরী ও কানাডা প্রবাসী ডা. আরিফুর রহমানের উদ্যোগে এসব ভেন্টিলেটর দেশে আসছে।
বিমানবন্দরে ৩১২টি ভেন্টিলেটর গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, ২০ আগস্ট ভেন্টিলেটরগুলো ঢাকায় পৌঁছাবে। বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে আমি ভেন্টিলেটর গ্রহণ করবো। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা ভেন্টিলেটর পেয়েছি। সেগুলো বিভিন্ন জায়গা বিতরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ভেন্টিলেটর পরিচালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের টিকা বিতরণ কমিটির মাধ্যমে ৩১২টি ভেন্টিলেটর সংগ্রহ করেছেন ছয় প্রবাসী বাংলাদেশি। আমেরিকার তৈরি সম্পূর্ণ নতুন ভেন্টিলেটরগুলোর প্রতিটির দাম প্রায় ১৫ হাজার ডলার। এগুলো অত্যন্ত মানসম্পন্ন ও আকারে ছোট। ভেন্টিলেটরগুলো খুব সহজে বহন করা যায়।
এর আগে বিনামূল্যে ভেন্টিলেটর পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশি চিকিৎসকরা। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারাই উদ্যোগ নিয়ে মোট ৩৭৭টি ভেন্টিলেটর বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ১২৭টি বারডেম হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে।
ভারত টিকা রফতানি বন্ধ করার পর আমেরিকা থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় প্রথমে মডার্নার ২৫ লাখ ও পরে আরো ৩০ লাখ এবং ফাইজারের এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসার নেপথ্যেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান জানান, কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেন থেকে বাংলাদেশের জন্য আরো টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।