নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডের সেজান জুসের কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় পুড়ে মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক শাখা। সিআইডি মরদেহগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে। এরপর সেগুলো নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সোমবার দুপুরে সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে ৪৮ জনের মরদেহের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। এই ৪৫ জনের মধ্যে ৩০ জন নারী ও ও ১৫ জন পুরুষের মরদেহ রয়েছে।’

‘আমরা ডিএনএ টেস্টের জন্য দুই ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে যে ৪৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় প্রথমে তাদের নমুনা সংগ্রহ করি। পরে মরদেহ দাবিদার এমন ৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এইসব নমুনা সংগ্রহ করে এই ৪৫ জনের মরদেহ আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি মরদেহগুলো শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন আরো বলেন, ‘সিআইডি শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে। জেলা প্রশাসন মরদেহগুলো তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেবে। মরদেহ দাফনের জন্য মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।’

গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের হাসেম ফুড লিমিটেডের ৬ তলা কারখানা ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮ টি ইউনিট টানা প্রায় ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।