নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে নমুনা সংগ্রহের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী বুথটি গুটিয়ে নেয় সিআইডি।
এ বিষয়ে সংস্থাটির ফরেনসিক ল্যাবের ডিএনএ পরীক্ষক দীপংকর দত্ত জানান, সর্বশেষ ৪৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এরপর নিহত বা নিখোঁজ কারো মা-বাবা অথবা স্বজন এলে সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে যোগাযোগ করতে সিআইডির তরফ থেকে মর্গের সামনে নোটিশে জানানো হয়েছে।
নোটিশে দুটি মোবাইল নম্বর (০১৬৭৩০১৬৯৭৩, ০১৭২৮২৫৬৬২৩) দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার ছয় তলা ভবনটিতে তখন প্রায় চারশ’র বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ মোড়কিকরণের প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।
প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। শুক্রবার দুপুরে কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, আগুনে পুড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। সবমিরিযে এ পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে।