শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

শরীয়তপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২০২ পাঠক পড়েছে

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছামাদ মাস্টার হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আরও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. মনির কামাল এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ৪ আসামি হলেন চাঁন মিয়া খান, নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাদবর ও জুলহাস মাদবর। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের ৯ আসামি হলেন আব্দুল হালিম মোল্যা, ফারক খান, আজিজুর মাদবর, জলিল মাদবর, আজাহার মাদবর, লাল মিয়া মীর, মিজান মীর, এমদাদ মাদবর ও আক্তার গাজী। আর খালাস পাওয়া ৫ জন হলেন আজিবর বালি, খোকন ব্যাপারী, সোহরাব মোল্যা, আজাহার মোল্যা ও আব্দুল খন্দকার।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইনিয়নের লক্ষ্মীর মোড় বাসস্ট্যান্ডে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয় আব্দুস ছামাদ মাস্টারকে। ১৭ জানুয়ারি নিহত ছামাদ মাস্টারের স্ত্রী ফেরদৌসী আজাদ তৎকালীন চন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযুক্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে রয়েছেন। নিহত আব্দুস ছামাদ মাস্টপার ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে ২০০৩ সালে চন্দ্রপুর ইউপি নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন নিয়ে বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়।

এর দীর্ঘ ৮ বছর ২০১৮ সালে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান মামলার বাদী। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে-৩-এ স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করা হয়।

আব্দুস ছামাদ মাস্টারের স্ত্রী মামলার বাদী ফেরদৌসী আজাদ বলেন, ‘আমার স্বামী একজন জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। নির্বাচনের আগে তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা তার লোকজন নিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। মামলার রায়ের জন্য দীর্ঘ ১১ বছর অপেক্ষা করেছি। রায় ভালো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580