রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

শীতকালে খেজুরের যত উপকার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬৪৯ পাঠক পড়েছে

শীত পড়লে শরীর সুস্থ রাখতে মধ্যবিত্ত পরিবার আজও ঘরোয়া টোটকায় বিশ্বাসী। আগের প্রজন্মকে দেখে পরের প্রজন্ম শেখে। এই প্রজন্মের অনেকেই সেই সবে গা না করলেও একটা বয়সের পর তারাও হয়তো এসব ঘরোয়া টোটকা মেনে নিতে বাধ্য হবে।

কিন্তু কোন যুক্তিতে শীতের সময় খেজুর খাবে কেউ? কারণটা তো তাদের জানাতে হবে।

খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম। শরীরকে উষ্ণ রাখতে এই জিনিসগুলি দারুণ উপাদেয়। শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এই খেজুর। গরম দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে আরও ভালো ফল মেলে।

হার্ট ভালো রাখে

শীতকালে হৃদপিণ্ড ঠিক ভালো রাখতে নিয়মিত খেজুর খান। হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমাতে খেজুর দারুণ কাজ দেয়। আবার কিছু গবেষকের দাবি, খেজুরে উপস্থিত ফাইবার শরীরের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।

হাঁপানির যম

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শীতকালে বহু মানুষ হাঁপানিতে কষ্ট পান। চিকিৎসক এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে এবং সন্ধ্যায় এক বা দুইটি করে খেজুর খেলে একদিকে যেমন শরীর গরম থাকে তেমনই হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ত্বকের যত্ন

শীতকালে প্রাকৃতিক নিয়মেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায়। ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও খেজুর মুক্তি দেয়। ত্বকের বলি রেখা নিয়ন্ত্রণ করতেও খেজুর সিদ্ধহস্ত।

স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে

খেজুরে পটাশিয়াম এবং কিছু মাত্রায় সোডিয়াম থাকায় এটি স্নায়ুর পক্ষে ভালো। নিয়মিত খেজুর খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কম থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

ওজন বাড়াতে বা কমাতে চাইলে খেজুর বেশ সাহায্য করে। খেজুরে থাকা শর্করা, প্রোটিং এবং অন্যান্য ভিটামিন ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। অন্য দিকে, শশা এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হ্যাং ওভার কাটায়

শীতকালে পার্টি, অনুষ্ঠান গেট টুগেদার লেগেই থাকে। এই সময় অনেক সময় মাত্রারিক্ত অ্যালকোহল সেবন করে ফেলেন অনেকে। ফলে সারা রাতের হই হুল্লোড়ের পর সকালে হ্যাংওভার কাটতে চায় না। এদিকে অফিস যেতে হবে। সেকারণে হাত দিয়ে ঘঁষে খেজুরের খোসা ছাড়িয়ে রাতের বেলা এক গ্লাস জলে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই ভেজা খেজুর খেয়ে ফেলুন। হ্যাংওভার কেটে যাবে।

হিমোগ্লোবিনের সামঞ্জস্যতা বজায়

খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দিলে বা হিমোগ্লোবিনের কমতি হলে খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এর ফলে শরীরের আয়রনের মাত্রা বজায় থাকবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক হবে এবং রক্তের কোষ উৎপন্ন হবে। ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব চলে যাবে। শক্তি বাড়বে। হরমোনজাত সমস্যা কমবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। গর্ভবতী মহিলাদের পক্ষে তাই খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যকর। সূত্র: এই সময়

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580