খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে সম্প্রীতির বন্ধনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।তিনি বলেন, আমরা সবার মাঝে শান্তি আনতে চাই, সম্প্রীতি আনতে চাই। সম্প্রীতির বন্ধনে এই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই
বুধবার ঢাকার স্বামীবাগস্থ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী আশ্রম ও মন্দির প্রাঙ্গণে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্দিরের পরিচালনা পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি। কেউ বাজারে গিয়ে চাল কিনতে পারেনি এমন ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিরোধীদল অপপ্রচার চালিয়েছিল করোনায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে, লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে, কেউ খাদ্যাভাবে মারা যায়নি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা সবার মাঝে শান্তি আনতে চাই, সম্প্রীতি আনতে চাই। সম্প্রীতির বন্ধনে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাবা লোকনাথ হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নয় বরং মানুষের সেবা করার কথা বলেছেন। তাই অপরের সেবার মাধ্যমে বাবা লোকনাথের আদর্শ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এসময় তিনি মহালয়ার প্রকৃত চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে আমি রাজনীতি করি। আমার গ্রামের বাড়িতে ১৯৬০ সালে দুর্গামন্দির স্থাপিত হয়। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সেখানে মন্দির কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে শিবমন্দির, বাবা লোকনাথের মন্দির ছাড়াও বিষ্ণুমন্দির রয়েছে। পাশাপাশি আমি মন্দিরের অপর পাশে মসজিদ তৈরি করেছি-যা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বা সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সংসদ সদস্য ও শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি পংকজ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু পদ ভৌমিক, সদস্য মৃত্যুঞ্জয় দাস, রবিন মুখার্জী এবং প্রধান পুরোহিত অজিত চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন। এর আগে তিনি বাবা লোকনাথ মন্দিরে পূজার অর্ঘ্য অর্পণ করেন।