শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

সারাদেশে চলছে মহাসপ্তমী উদযাপন

নিউজ ডেক্স:
  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৫৪ পাঠক পড়েছে

শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী আজ। সারাদেশে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সকালে নবপত্রিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহাসপ্তমীর আনুষ্ঠানিকতা। দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের।  প্রতিনিধিদের পাঠানো লেখা ও ছবি নিয়ে এই প্রতিবেদন।

মঙ্গলবার মহাসপ্তমীতে সকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মন্ডপে পূজা হয়েছে। দুপুরে দেবী বন্দনা, প্রসাদ বিতরণ ও বিকেলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পূজার পর মন্ডপগুলোতে নানা বয়েসী দেবী দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এবার বিভিন্ন দর্শনার্থীদের দেবীর কাছে প্রার্থনা করোনা মুক্ত পৃথিবী। মানুষ যেন আবার স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।

মানিকগঞ্জের পুজা মণ্ডপগুলোতে সকালেই শুরু হয় চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মহাসপ্তমীর পুজা। এরপর নবপত্রিকা স্থাপন করা হয় মণ্ডপে। দিনভর মণ্ডপে পুজা অর্চনা ও অঞ্জলি দেয়া হয়। সন্ধ্যায় আরতি অনুষ্ঠানের আয়োজন আছে। বর্ণিল সাজের প্রতিমাগুলোতে দেখতে এরই মধ্যে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। পৃথিবী থেকে যেন অতিমারি দুর হয়ে যায়- সে প্রার্থনা দর্শনার্থী ও পূজারিদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে। এ উপলক্ষে মন্ডপগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণীল সাজে। মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবী বন্দনা। ভক্তরা আসছেন দেবী দর্শনে। এবার জেলার ১৪২টি মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সদর উপজেলায় ৬০টি, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৩৮টি, গোমস্তাপুর উপজেলায় ২৯টি, নাচোল উপজেলায় ১২টি ও ভোলাহাট উপজেলায় ৩টি। এ উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

ঝালকাঠিতে নবপত্রিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে ১৭১ টি মন্দিরে সপ্তমী পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। একটি কলাগাছকে বউ সাজিয়ে মন্ডপগুলোর নিকটস্থ নদী, পুকুর বা জলাশয়ে স্নান করানো হয়। তারপর শাড়ি পরিহিতা সেই গাছকে প্রতিমার এক প্রান্তে গণেশের পাশে স্থাপন করা হয়। এরপর ত্রিনয়না দেবীর তৃতীয় চক্ষুদান করা হয়। নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন শেষে দেবীর মহাসপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দেয়া হয় পূজার প্রথম অঞ্জলি।

সোমবার রাতে ঝালকাঠির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। এ সময় ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দে, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. মাসুদ রানা, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার অসীম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক তরুন কর্মকারসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ডিআইজি দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কাছে পূজার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।

বাগেরহাটের পূজামন্ডপগুলোতে নব পত্রিকা স্থাপন করে সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ফুল-বেলপাতা, ধূপ-দ্বীপ আর নানা ধরণের ভোগ সাজিয়ে পূজা করা হচ্ছে মা দুর্গাকে। চন্ডিপাট আর পূজার মন্ত্র ধ্বনীত হচ্ছে পূজামন্ডপগুলোতে। ঢাকের বাজনা, শঙ্খ আর উলুধ্বনীতে মুখরিত পূজামন্ডপ।

মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট শহরের শালতলা কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির, রাধেশ্যাম, দশানী, নাগেরবাজারসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপে গিয়ে দেখা গেছে ভক্তরা মা দুর্গাকে নানা ভাবে আরাধনা করছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা থেকে মুক্তি পেতে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করছেন ভক্তরা।

বাগেরহাট জেলায় এ বছর ৬৩৩টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডবগুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বুধবার মহাষ্টমী, বৃহস্পতিবার মহানবমী এবং শুক্রবার দশমীতে দর্পণ বিসজ্জনের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হবে। এবছর মা দুর্গা ঘোড়ায় চড়ে কৈলাস থেকে মর্তলোকে এসেছেন। পাঁচদিনের পূজা অর্চনা শেষে দোলায় চড়ে আবার কৈলাসে ফিরে যাবেন।

ফেনীর ১৪৩ টি পূজামণ্ডপে চলছে মহাসপ্তমীর আয়োজন। মূলত দুর্গোৎসবের মূল পর্বও শুরু আজ। সকালে হতে শহরের মন্দিরগুলোতে দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ গ্রহন চলছে।

মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা হচ্ছে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়।দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করছেন ভক্তরা।

নীলফামারীতে কলা বৌ স্নান করিয়ে, ঘট প্রতিস্থাপনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারর্দীয় দুর্গোৎসব।
পঞ্জিকামতে এবার ঘোটকে আগমন ঘটেছে দেবীর। কথিত আছে, দেবীর ঘোটকে আগমনের ফল ছত্রভঙ্গ। সপ্তমী তিথি বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে আজ ২৫ আশ্বিন ভোর ৪ টা ০৩ মিনিট ০৫ সেকেন্ড কলা বৌ স্নান করিয়ে, ঘট প্রতিস্থাপনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে মহাসপ্তমী পূজা শেষ হয় ১টা ৪৬ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে।
এ দিনে মন্দিরে মন্দিরে দেবীর চক্ষুদান ও সপ্তমীবিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহাসপ্তমীর আয়োজন। চলে দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, অঞ্জলি ও পূজা অচর্না এসময় ব্যস্ত সময় পার করেন পূরোহিতগণ।
বিহিত পূজা শেষে সকাল ১০টায় এক যোগে জেলার ছয় উপজেলার ৮৭৭টি মণ্ডপে দেবীর প্রতি অঞ্জলি দেন ভক্তরা। অঞ্জলি শেষে নীলফামারী শহরের আনন্দময়ী কেন্দ্রীয় কালিবাড়ী মন্দির চত্বরে দূঃস্থ, অসহায় ও গরীব তিন শতাধিক মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করে মন্দির পরিচালনা কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580