বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে অবশেষে সমঝোতা হয়েছে। মেয়র এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টিকে ভুল বুঝাবুঝি বলে উভয় পক্ষ মেনে নেয়ার পর সকলের মুখে হাসি ফোটে।
রবিবার রাত ৯টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের নগরীস্থ বাসভবনে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে রাতের খাবার খেয়ে সকলে বের হন।
সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর জানান, বরিশালের সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। পুরো বিষয়টি ইতিবাচক ছিলো। তবে বৃহত্তর স্বার্থে বৈঠকের খুটিনাটি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। বৈঠকে সকল পক্ষের মামলা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল, ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন, ইউএনও মুনিবুর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকারি কৌশলী একেএম জাহাঙ্গীরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ১৮ আগস্ট রাতে ইউএনও’র বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ওই ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে। পরবর্তীতে মেয়রের পক্ষ থেকে ইউএনও এবং ওসিসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হলে বিচারক পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।