‘অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় প্রতিটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের যে পরিণতি হয়েছে আপনাদেরও সেভাবে বিদায় নিতে হবে।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যা ও পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। অন্যথায় প্রতিটি কতৃত্ববাদী সরকারের যে পরিণতি হয়েছে আপনাদেরও সেভাবে বিদায় নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিন যাবত লক্ষ্য করছি এই সরকার নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। অনেক মানুষকে হত্যা করেছে, গ্রেপ্তার করেছে। আমাদের দলের নিপুণ রায়সহ ছাত্রদল, যুবদলের অসংখ্যা নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি বলেন, আজকে পরিকল্পিতভাবে সংসদকে রাবারস্ট্যাম্প সংসদে পরিণত করা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নিজেদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। এ সরকারকে অবশ্যই চলে যেতে হবে।’
বর্তমান সরকারকে স্বাধীনতাবিরোধী বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রক্ত ঝরানোর দায় সরকারকে নিতে হবে। গত কয়েকদিনে সরকারের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে জনগণের ওপরে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এভাবে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।