শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

অবৈধ সম্পদের পাহাড়

শেখ নাজমুল:
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৪২৩ পাঠক পড়েছে

দূর্নীতির বরপুত্র নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারী

নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ, সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকাশ্যে তার খাস-কামরায় দাতা গ্রহিতাদের কাছ থেকে নিজেই ঘুষের দেন-দরবার করে থাকেন তিনি। এছাড়া রুপগঞ্জ-সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে দলিল লেখকদের মাঝে প্রকাশ্যে বলে থাকেন আমি সরকার দলীয় লোক, উপর মহলে অনেকের সাথে ও নামধারি কিছু সাংবাদিক ম্যানেজ করে এ সকল অবৈধ ঘুষ বাণিজ্য করে থাকি।

ঢাকা জেলার বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ অফিসে পোষ্টিং নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকতাদের ম্যানেজ করে ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঐ সকল অবৈধ কর্মকান্ড করে থাকি। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারী অস্বচ্ছ উপায়ে কোটিপতি বনে গেছেন। এস এম সফিউল বারী, তার না আছে দৃশ্যমান আয়ের উৎস, না আছে পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্তির সম্পদ। তার প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অতিষ্ট সেখানকার দলিল লেখক ও আগত দাতা-গ্রহিতারা। সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারীর প্রকাশে ঘুষ বাণিজ্যে কেন দুদক এর নজরে আসছে না, সেটাই বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রুপগঞ্জ এলাকাবাসীর মাঝে, বলে নাম প্রকাশ করার শর্তে একাধিক দলিল লেখকগণ এই প্রতিবেদক কে জানান।

সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারী বিগত সময়ে কেরনীগঞ্জ মডেল সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস কে ঘুষ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। তার অবৈধ ঘুষ বাণিজ্যের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে গত ০৮/০৪/২০১৯ ভুক্তভোগী, কেরানীগঞ্জ, শুভ্যাড্যা এলাকায় আব্দুল বাছেদ সরকার এর স্বাক্ষরিত চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কার্যালয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারী ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার এস্কেন্দার আলীর বিরুদ্ধে বর্তমানে সাব-রেজিষ্ট্রার এস্কেন্দার অবসরে আছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় এস.এম. শফিউল বারী, সাব-রেজিষ্টার, কেরানীগঞ্জ মডেল সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন অফিসকে দূর্নীতির কারনে বরপুত্র, নাম প্রকাশ পায়।

সূত্রে আরো জানা যায় তার জন্ম তারিখ: ১৬-০৬-১৯৭৭ ইং, রোয়ালখালী, চট্টগ্রাম। বিগত ৭-৫-২০১২ তারিখে সাব-রেজিষ্ট্রিার পদে নিয়োগ পেয়ে ৮-১০-২০১৫ তারিখে প্রাপ্য গ্রেড সি-তে যোগদান করেন। তার পূর্ববর্তী ষ্টেশন হলো গান্দাইল, সিরাজগঞ্জ/লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ঢাকা। সাব-রেজিষ্ট্রার হিসাবে নিয়োগ পেয়ে তিনি দূর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছেন বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়। কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন সরকারী ভূমি রাজস্ব আত্মসাতে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে নানাবিধি দূর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এর পাহাড় গড়ে তুলেছেন, সেই অবৈধ টাকা দিয়ে একাধিক ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও তিনি পূবালী ব্যাংকের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের নিকট হতে ধানমন্ডিতে বিশাল বহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। সে ফ্ল্যাটটি তিনি ২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন কিন্তু রেজিষ্ট্রি করেছেন মাত্র ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনি ১৫ কাঠা জমি ক্রয় করেছেন, তার প্রতি কাঠা জমির মূল্য ১ কোটি টাকা। তার সন্তান ও স্ত্রীর নামে-বেনামে ২০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ভাটারা খন্দকার বাড়ীর মোড়ের সাথে রয়েছে ৩ তলা ভবন, যার জমির দামসহ নির্মাণ মূল্য ২০ কোটি টাকা। স্ত্রীর-সন্তানের নামে শেয়ার বাজারে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার শেয়ার। স্ত্রী-সন্তানের নামে ইসলামী ব্যাংক এবং ব্রাক ব্যাংক এর অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করলে জানা যাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য। বেশ কয়েকটি ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর আব্দুল বাছেদ সরকারের লিখিত এত সব অভিযোগটি আমলে আসেননি কিংবা সাব-রেজিষ্ট্রারের অবৈধ টাকার প্রভাবে আজও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেননি। এত টাকার মালিক কি ভাবে হলো যা দুদকের উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার এস এম সফিউল বারীর মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580