আগামীকাল থেকে সারা দেশে সিনোফার্মের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সব জেলা হাসপাতাল; সদর হাসপাতাল অথবা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, এ ছাড়া চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এবং সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্বের মতো টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
শামসুল হক আরও বলেন, ঢাকা শহরের ভেতরে ৪৮টি কেন্দ্রে আমাদের টিকাদান কর্মসূচি চলছিল, এই মুহূর্তে আটটি কেন্দ্র বাদ দিয়ে আমরা বাকি ৪০টি কেন্দ্রে পূর্বের মতো একই সময়ে, একই নিয়মে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবো। যারা রেজিস্ট্রেশন করে এসব কেন্দ্রে টিকা নিতে পারেননি, তারা এখন টিকা নিতে পারবেন। যারা অগ্রাধিকার তালিকায় আছেন, তাদের জন্য আজ থেকে রেজিস্ট্রেশন চালু হচ্ছে। আমাদের করোনার টিকাদান কেন্দ্র লকডাউনের আওতা বহির্ভূত। কারো হাতে যদি ভ্যাকসিন কার্ড থাকে, সেটি প্রদর্শন করে কেন্দ্র যেতে পারবেন। যেসব দেশে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন মেনে নিচ্ছে, আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। ঢাকার বাইরেও টিকা নেয়া যাবে।
তবে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা নেয়া যাবে না।
আগামীকাল থেকে ফাইজারের টিকাদান কর্মসূচি চালু হচ্ছে। যেহেতু এটি পরিবহন করা কঠিন, ঢাকায় আমরা সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। প্রবাসী শ্রমিক যারা ফাইরাজের টিকা ছাড়া বিদেশে যেতে পারছেন না এই মুহূর্তে শুধু তারা এই কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা নিতে পারবেন। জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো থেকে আমাদের তালিকা দেয়া হবে। এসব কেন্দ্রে অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, তাদের সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জন্য অন্য কেন্দ্রে যেতে হবে— বলেন শামসুল হক।