তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে। তাই জাতির পিতার সুযোগ্য মেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বদলে গেছে। ৩ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তাই দেশের কোথাও এখন আর কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সম্মেলনের উদ্বোধক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন হবে না। অন্ধকারের পথ ধরে ক্ষমতায় আরোহণ করা সম্ভব নয়। এর আগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার উন্নয়ন রুখে দিতে দেশে-বিদেশে শত্রুতা আর ষড়যন্ত্র চলছে। আর ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে হবে নিজেদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে। আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমানের প্ররোচনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানও শত শত সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এভাবেই তারা দেশে হত্যার রাজনীতি কায়েম করে এবং উন্নয়নের রাজনীতি বন্ধ করে দেয়। বেগম জিয়া সারের জন্য কৃষককে, বেতনের জন্য শ্রমিককে হত্যা করে। তিনি বলেন, এত কিছুর পরও শেখ হাসিনা দলকে গুছিয়ে এনেছেন। আগামীতে আবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যকরী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, প্রফেসর মেরিনা জাহান এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি, সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু প্রমুখ। এর আগে দুপুরে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নেতারা। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিতে রেজাউল রহিম লালকে সভাপতি ও গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।