পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, আপাতত সরকারের লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই। রোববার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিদেশি কূটনীতিকদের টিকার বুস্টার ডোজ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন বন্ধু দেশগুলো থেকে ৩১ কোটি ডোজ টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা প্রতিরোধে দেশের সব জনগণকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছেন। পাশাপাশি টিকা কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থও বরাদ্দ করেছেন। দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। কিন্তু আমরা বিভিন্ন বন্ধু দেশগুলোর কাছ থেকে প্রায় ৩১ কোটি টিকা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করেছি। এর মধ্যে কিছু আমরা কোভ্যাক্সের আওতায় পাচ্ছি। কিছু টিকা আমরা কিনছি।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। রোববার (৯ জানুয়ারি) কূটনীতিকদের টিকার বুস্টার দেওয়ার এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এর প্রায় এক বছর পর আজ থেকে তারা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। এদিন, গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে ভারত, ব্রাজিল, ভ্যাটিকান সিটি, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার টিকা নেন।