আপিল শুনানির আগে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরের তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আপিল শুনানির আগে ওই দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে- এ কথাটি কিন্তু সঠিক না। তাদের আপিল শুনানি হয়েছে। জেল আপিল ছিল, জেল আপিল শুনানি হয়েছে। জেল আপিল শুনানির পর তাদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার যে অধিকার সেটাও দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, যে বিভ্রান্তি ঘটেছে সেটি হয়তো কোনো এক সময় একটা আপিল কেউ দাখিল করেছিল। আমি আমার ওকালতি জীবনে যেটা দেখেছি সেটা হচ্ছে, এই রকম আপিল দাখিল করা হলে জেল আপলিও যদি থাকে তাহলেও দুটো একসঙ্গে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আমি জানি না তাদের আপিল কবে দাখিল করা হয়েছিল এবং জেল আপিলটা একসঙ্গে কেন করা হলো না।
আনিসুল হক বলেন, বিচারিক আদালতে এবং হাইকোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কনফার্ম করা হয়েছিল। জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। তারপরও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চান। সেই আবেদন নাকচ করার পরে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় সাবেক ইউপি মেম্বার মো. মনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় ২০০৮ সালে গোলাম রসুল ঝড়ু ও আবদুল মকিমকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগেই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে বুধবার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।