নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেছেন, আমাকে হত্যা করার জন্য নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি।
কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম একজন মেরুদণ্ডহীন প্রাণি। তার কারণে একরাম চৌধুরী আকাম-কুকাম করছেন। দুর্নীতি ও অনিয়ম করে একরাম টাকা বেশি খান, আর সেলিম কম হলেও খান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার দলের নীরিহ ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। সারা রাত ডিবি পুলিশ, অন্যান্য বাহিনী আমার নেতাকর্মীদের প্রত্যকের বাড়িতে হানা দিচ্ছে এবং নিরাপরাধ নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজনদের মারধর করছে।
কাদের মির্জা বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে নির্বিচারে প্রতিপক্ষ আমার পৌরসভা কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৫০০ গুলি ছুড়েছে। এসময় আমি শুয়ে প্রাণে রক্ষা পাই। তবে আমার সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ সহিংসতার ঘটনায় তদন্ত চাই। এছাড়াও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে এ সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।
কাদের মির্জা বলেন, আমি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ইভিএমে কাস্টিং ভোটের ৭৭ ভাগ ভোট পেয়েছি। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা নিজাম হাজারি ও একরাম চৌধুরীর সঙ্গে এক হয়ে আমার বিরোধিতা করছে।