হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখাবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই মামলায় তাকে রিমান্ডের আবেদনও করবে সিআইডি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই, মুন্সিগঞ্জে দুটি রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঁচটি মামলা এবং চলতি বছরে মামলা হয়েছে ১০টি।’
সিআইডির এই অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় যারা উপস্থিত ছিল, মদদ দিয়েছে, উসকানি দিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ফুটেজ ফরেনসিক করা হবে। ফরেনসিক করে যাদের পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই আমরা আইনের আওতায় আনব। আইন অনুযায়ী তা তদন্ত করা হবে। আমাদের ফরেনসিক, ডিএনএ, অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তা রয়েছে, সাইবার সাপোর্ট রয়েছে।’
ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা এসব মামলা প্রাথমিক তদন্তে তিন ধরনের লোকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। যারা উপস্থিত থাকছে, অনুপস্থিত থাকলেও ইন্ধন দিয়েছে, আর যারা সরাসরি হামলা ও নাশকতায় জড়িয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।’
এসব মামলায় মামুনুল হকের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন। সেটি শেষ হলে আমরা রিমান্ডে আনবো।’
কোন মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের দুটি মামলায় তার (মামুনুল হক) ইনভলভমেন্ট পাওয়া গেছে। আমরা সব মামলা স্টাডি করছি। যদি অন্য কোনো মামলাতেও তার ইনভলভমেন্ট থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’