ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসেছিল নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু সেই বৈঠক মোটেও ভালো অভিজ্ঞতার ছিল না। নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করেই আলোচনার জন্য ওই বৈঠক ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
বৈঠকে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে যে পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে তা গত কয়েক দশকের মধ্যে দেখেনি ইউরোপ। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিশেষ দূত অভিযোগ করেছেন যে, রাশিয়ার বিষয়ে উম্মাদ এবং অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করে তবে তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেন, ক্রেমলিনের ঘনিষ্ট ব্যক্তি এবং ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বর্তমানের তুলনায় আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আইনপ্রণেতারা। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার অর্থ ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন লোকজনকে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে রুশ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, রাশিয়া প্রায়ই তাদের নিজেদের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে থাকে। আর এটা দেখা ওয়াশিংটনের কাজ নয়। তবে এত কিছুর পরেও কূটনৈতিক তৎপরতাও চলমান রয়েছে। সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অপরদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট সেরগেই লেভরভের সঙ্গে মঙ্গলবার ফোনে কথা বলবেন।