চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এই নির্বাচনে ৩৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৫৮ জেলার, ১১৮টি উপজেলায় ৮৩৮টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে কেন্দ্রপ্রতি মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, আনসার, অঙ্গীভূত আনসারের ২২ জনের ফোর্স।
নির্বাচন কমিশন আগের মতোই বলছে, এ ধাপের নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের সময় শেষ হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গতকাল শনিবার আগের ধাপের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন। এ ছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সংঘাত-সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ভোটে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে জমা করা বিপুল পরিমাণ ককটেল, দেশীয় অস্ত্র এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গতকাল সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছে। এসংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদসচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যেসব নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন বা যাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের অবিলম্বে এলাকা ত্যাগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি শুধু তাঁর ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।