প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত বিশ্বের মতো বিমা ব্যবস্থা দেশে চালু হোক, সেটা আমরাও চাই। মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতীয় বিমা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হওয়া এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বেশ কয়েকটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অনুমতি দিয়েছে। এগুলো আরও কার্যকর করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে চাই। এজন্য কাজ শুরু করতে হবে। বিমা জনপ্রিয় করাসহ এর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেকেই ব্যবসা করতে গিয়ে বিমা করে। এরপর ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রিমিয়াম থেকে টাকা দাবি করে। হয়তো এই দাবি সঠিক নয়। এসব বিষয়ে আমাদের সর্তক হতে হবে। যারা এসব পরীক্ষা করে তাদের ভালোভাবে শিক্ষা দিতে হবে। তারা যেন আবার অন্য কোনোভাবে ওই অল্প ক্ষতিকে বড় ক্ষতি করে না দেখায়।
আবার গ্রাহক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখারও অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিমা মানে হচ্ছে একটা আমানত। তাই কেউ যেন তার প্রাপ্য চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার না হয়। প্রাপ্য যেন সহজেই পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিমা নিয়ে নানা হয়রানি হয়- এসব বন্ধ করতে হবে। বিমা দাবিতে অনিয়ম দূর করতে প্রযুক্তির ব্যবহারের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্সে বঙ্গবন্ধুর যোগদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দীর্ঘ ২৩ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে ধাপে ধাপে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেন। যখন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলো তখন তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্সে কর্মরত অবস্থায়ও বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত রেখেছেন। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগিতায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছিলেন।