রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

একুশের পথ বেয়েই স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল অর্জন: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেক্স:
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪১০ পাঠক পড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ– একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল অর্জন। একুশে পদক বিজয়ী ২১ জনের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর ওসামানী স্মৃৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন। জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সম্মাননাকে কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, সমগ্র জাতির জন্যই সম্মাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন- মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ। শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন- কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি) ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।

মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন। সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক পেয়েছেন।

বিজয়ীরা নিজ নিজ পদক প্রহণ করেন এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পুত্র-কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা পদক প্রহণ করেন। প্রয়াত জননেতা শামসুল হকের পক্ষে তার ছেলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলার (মরণোত্তর) পক্ষে তার ছেলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পুরস্কার গ্রহণ করেন। অন্যদিকে গোলাম মুরশিদের পুরস্কার গ্রহণ করেন তার এক ছাত্র। পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং নগদ অর্থের চেক প্রদান করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.বদরুল আরেফীন স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সহিত্যিক,লেখকসহ বুদ্ধিজীবী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580