শিশুদের টিকা দেয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এখনই তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনে ফাইজারের টিকা হস্তান্তরের সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক একথা বলেন।
তিনি বলেন, শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এই মুহূর্তে শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যেসব জায়গায় ফাইজারের টিকা দেওয়া যাচ্ছে সেসব জায়গায় আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি। আল্ট্রা কোল্ড চেইনে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার ন্যূনতম সক্ষমতা আমাদের আছে। আগামীতে যে কোনো ধরনের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
এরআগে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের আরো যে ২৫ লাখ ডোজ করোনার টিকার প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছায়। প্রথম চালানে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৫০ ডোজ টিকা সোমবার দিনগত রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পোঁছায়।
এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দুদিনে তিন শিপমেন্টে দেশে ফাইজারের ২৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা আসবে।
এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার দিনে দ্বিতীয় চালানে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮০ ডোজ এবং রাত সাড়ে ১১টায় তৃতীয় চালানে আরও ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৫০ ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছানোর কথা আছে।
এর আগে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে প্রথম দফায় ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ এবং তৃতীয় দফায় আরও ২৫ লাখ ডোজসহ ফাইজারের মোট ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে।