ডিজিটাল অর্থনীতিতে বৈশ্বিক এবং ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এসেনশিয়াল ডিজিটাল ইন্সফ্রাসট্রাকচার অ্যান্ড সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক (এডিসন এলাইন্স) নামে একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
২০১৯ সালে করোনা মহামারির ফলে সারাবিশ্বে যে নতুন (নিউ নরমাল) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করতে, শিখতে ও জীবনযাপনের অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করতে মানুষকে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম করে তুলেছে।
একই সঙ্গে এই মহামারি বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যকে উন্মোচিত করছে এবং বাড়িয়েছে। পৃথিবীর প্রায় তিন দশমিক ছয় বিলিয়ন মানুষ অফলাইনে থাকেন। উন্নত বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশের জন্য ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি এখনও বেশ ব্যয়বহুল। সে কারণে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে মানুষের প্রবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে।
এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ‘এডিসন এলাইন্স’ নামক এই জোট গড়ে তুলেছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে- ডিজিটাল অর্থনীতিতে বৈশ্বিক এবং ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা। প্রযুক্তি শিল্প ও অর্থনীতির অন্যান্য সমালোচনামূলক খাতগুলোর মধ্যে ক্রস সেক্টরাল সহযোগিতা নিশ্চিত করা। উদ্বোধনের সময় ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম জানিয়েছিল যে, এই জোটটিকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবে, চ্যাম্পিয়ন লিডারর্সদের একটি বড় গ্রুপ।
গঠিত হওয়ার পর এই জোটটির প্রথম সভায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক। ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি ডিজিটাল অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা, শহর ও গ্রামাঞ্চলের বৈষম্যগুলো কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন, যা অনায়াসেই পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম ২০১৬ সালে জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়ং গ্লোবাল লিডার হিসেবে মনোনীত করেছিল। ওই বছর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্য থেকে জুনাইদ আহমেদ পলক এই মনোনয়ন পেয়েছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চ্যাম্পিয়ন লিডাররা এই এডিসন এলাইন্সের সদস্য।