আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের জন্য এক হাজার ৫১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি নয় লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এনইসির সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এনইসির চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় অংশ নেন। সভায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৪২৬টি প্রকল্প এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলবে। নতুন অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আজকের সভায় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ১১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার এডিপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন এডিপির বরাদ্দ মোট ১৫টি খাতে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া ১০টি খাতের মধ্যে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাত বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ৪৫ কোটি ৮৬৮ কোটি, গৃহায়ণ ও কমিউনিটি খাতে প্রায় ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি, শিক্ষা খাতে ২৩ হাজার ১৭৮ কোটি, স্বাস্থ্য খাতে প্রায় ১৭ হাজার ৩০৭ কোটি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে প্রায় ১৪ হাজার ২৭৪ কোটি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি খাতে প্রায় আট হাজার ৫২৬ কোটি, কৃষি খাতে প্রায় সাত হাজার ৬৬৫ কোটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে প্রায় চার হাজার ৬৩৮ কোটি এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রায় তিন হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগকে। এখানে ৩৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ২৮ হাজার ৪২ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগ ২৫ হাজার ৩৪৯ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০ হাজার ৬৩৪ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ১৩ হাজার কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৯২০ কোটি, সেতু বিভাগ ৯ হাজার ৮১৩ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আট হাজার ২২ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুকুলে ছয় হাজার ৮৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।