রপ্তানি না করে এলসির বিপরীতে রড তৈরির কাঁচামাল দেশের বাজারে বিক্রি ও ঋণের সাড়ে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- মেসার্স শাহেদ শিপ ব্রেকিংয়ের মালিক মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া, এবি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিং রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. নাজিম উদ্দিন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসামি মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া ২০১২ সালে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিং রোড শাখা থেকে স্পেসিফিক ডিল বেসিস এলসি ঋণের জন্য আবেদন করেন। সেই ঋণের পক্ষে মতামত দিয়ে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন এলসি ব্যবসা থেকে ৪৭৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে এমন যুক্তিতে ঋণ মঞ্জুর করিয়ে নেন। ঋণের শর্ত ছিল এবি ব্যাংকের এলসির বিপরীতে বিদেশ থেকে পুরাতন জাহাজ এনে রড তৈরি করে রপ্তানি করতে হবে।
চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি না করে বিদেশ থেকে পুরাতন জাহাজ আমদানি করে তা ভেঙে সরাসরি দেশের বাজারে বিক্রি দেয় আসামি শাহেদ মিয়ার প্রতিষ্ঠান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করে ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ব্যাংক থেকে মোট ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে ।