স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) খুলনা বিভাগের অধীনে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের সাতক্ষীরা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকারের অধীনে চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বোচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ খোদ তার কার্যালয়ের কর্মচারীরা। সাতক্ষীরা জেলার সচেতন নাগরিক কমিটি তার দুর্নীতির বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধি দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
নারায়ন চন্দ্র সরকারের তত্ত্ববধানে সাতক্ষীরা সদর ফিংড়ি ইউনিয়নের জোড়দিয়া থেকে শেখপাড়া চলমান এলজিডির নতুন রাস্তার পার্শ্বে পাইলিং এর পরিবর্তে বাঁশের বেড়া দিয়ে কাজ করা হয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে এ অভিযোগের সত্যাতা পাওয়া যায়। পাইলিং এর পরিবর্তে বাঁশ ও কঞ্চির বেড়া দিয়ে কাজ করায় রাস্তাটি যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। ডিপিপিতে পাইলিং ঢালাই উল্লেখ থাকলেও সে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেননি নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার ও প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
এবিষয়ে ইতোপূর্বে আজকের সংবাদ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর তরিঘড়ি করে রাস্তায় কাজ আপাতত বন্ধ করেছেন সাতক্ষীরা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার। বাঁশ ও কঞ্চির বেড়া দিয়ে কাজের বিষয়ে নারায়ন চন্দ্র জানান, আমরা কাজ বন্ধ করেছি এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কাজের পরিমাপ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যদি কোন অর্থ আমাদের নিকট পান সেই প্রাপ্ত অর্থ থেকে ১৫ শতাংশ হারে টাকা কর্তন করে বাকি টাকা ফেরত দেয়া হবে। আর যদি এলজিইডি কোন অর্থ পায় তবে তা জমাকৃত সিকিউরিটির টাকা থেকে কর্তন করা হবে। আমরা পুনঃ দরপত্র আহ্বান করবো তবে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।
এবিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মোস্তাপিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। কাজ চলমান সময়ে তদারকির জন্য কোন কমৃকর্তা উপস্থিত না থাকার বিষয়ে তিনি কোন জবাব দেননি। আর কাজ বন্ধ থাকার ফলে সাধারন জনগণের ভোগান্তির দায়ভার কে নিবে প্রশ্নের মাঝেই তিনি ফোন কলটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। নারায়ন চন্দ্র সরকার দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরায় চাকুরি করা কারণে নিজস্ব তত্ত্ববধানে গড়ে তুলেছেন একটি ঠিকাদারি সিন্ডিকেট।
ইতোপূর্বে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। আবার পদোন্নতি পেয়ে নিবৃাহী প্রকৌশলী হযেও তিনি এখানে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, কমিশন,দেশের বাইরে টাকা পাঁচার,অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দাপ্তরিক সরকারি ব্যাংক হিসেব ব্যক্তি নামে স্থানান্তরসহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সাতক্ষীরা সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ডিপিপি না মেনে পাইলিং এর পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মুজাক্কা জাহেরর সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।