শাহিদা খাতুন
যেখানে বিচার থাকে সেখানে সম্ভ্রম হারায় না।
পোশাকের আব্রু, নেই বিচারের জনপদে নেহাৎ অপচয়।
পোশাক ছিঁড়তে বেশি শক্তিরও প্রয়োজন হয় না।
সামান্য টান দুঃশাসনের, বারোহাত শাড়ির আব্রু লুটায় ধুলায়।
দ্রৌপদীর আর্তচিৎকার কোন যাদবনন্দনের কানে পৌঁছে না এখানে ।
কর্ণেরা চোখ বুজে থাকে ঈর্ষায়।
কেন তুমি নারি অপ্সরা হবে? কেন তুমি বেছে নিলে অর্জুন।
তোমার দোষ? তোমার অনায্য যৌবন স্বাধিকার।
তোমার বস্ত্র-হরণ তাই দুঃশাষনের অধিকার।
নেই বিচারের জনপদ,রাজা ধৃতরাষ্ট্র নিয়ত কুণ্ঠিত-
অন্যায় সিংহাসন উপবেশনের ক্লেশে।
উত্তরাধিকার মোহ তার অন্ধদৃষ্টির মতো মনকেও ডুবিয়ে দিয়েছে আঁধারে।
গদি টেকাতে তার দুর্যোধন ও দুঃশাসনদের মতো দুরাত্মাদের বড় প্রয়োজন।
মহামহিম ভীষ্ম,গুরুদ্রোণা প্রমুখেরা কর্তব্য নির্ধারণে অপারগ।
দুরাচার পুত্রের অনোন্যপায় মাতার অভিশাপে
যদুবংশ ধ্বংস হবে বলে
তুমি কি কৃষ্ণ ভীতিতে পিছিয়ে যাবে?
এসো কৃষ্ণ এসো ,দুর্যোধনের কোমর গুড়িয়ে দিতে
তুমি চালো, অভিনব কোন চাল ,
রচনা করো দুর্ভেদ্য, বিস্ময় মায়া জাল।
ও ভেঙ্গে যাক,গুড়িয়ে যাক,তছনছ হয়ে যাক।
ওর ভাঙা কোমরের বেদনা দেখে,
সংযত হোক উদ্ধত শত দুঃশাষনের হাত।