ওমানের রাজধানী মাসকাটের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ দেশটির সবচেয়ে উঁচু ও সুন্দর মসজিদ। ঝরনা, বাগান ও সবুজে ঘেরা অনিন্দ্য মসজিদটি ৪ মে ২০০১ উদ্বোধন করা হয়। ওমানের তৎকালীন সুলতান কাবুস বিন সাঈদ মসজিদটি নির্মাণ করেন তাঁর শাসনকালের তিন দশক উদযাপন উপলক্ষে। ১৯৯৩ সালে মসজিদের নকশা নির্ধারণ করতে প্রকৌশলীদের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আধুনিক নির্মাণ শৈলী ও দেশীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে তৈরি নকশা অনুসারে মসজিদ নির্মাণে সময় লেগেছে ছয় বছর সাত মাস। নির্মাণকাজে ভারত থেকে আমদানি করা ৩০ হাজার টন গোলাপি বেলে পাথর, গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথর ব্যবহৃত হয়েছে।
সুলতান কাবুস মসজিদ ওমানের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা। মসজিদের চারটি মিনারের মধ্যে একটির উচ্চতা ৯০ মিটার। এ ছাড়া ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রতীক হিসেবে মসজিদে পাঁচটি বিশেষ স্তম্ভও স্থাপন করা হয়েছে। এটি ওমানের সবচেয়ে বড় মসজিদও। এখানে একসঙ্গে ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। মূল প্রার্থনা কক্ষে ছয় হাজার ৫০০, বাইরে আট হাজার এবং নারীদের নির্ধারিত কক্ষে সাড়ে ৭০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। সুলতান কাবুস মসজিদে ঝোলানো হয়েছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ঝাড়বাতি। ইতালির তৈরি ২৪ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো ঝাড়বাতিতে আছে ছয় লাখ সরোভস্কি স্ফটিক এবং এক হাজার ১২২টি বাল্ব। এটি মসজিদের মূল প্রার্থনা কক্ষে ঝোলানো হয়েছে এবং মসজিদে অনুরূপ ৩৪টি ছোট ঝাড়বাতি আছে। মূল প্রার্থনা কক্ষে বিছানো হয়েছে ২১ টন ওজনের হাতে তৈরি কার্পেট। ৬০০ ইরানি নারী চার বছরে দৃষ্টিনন্দন কার্পেটটি তৈরি করেছে। এ ছাড়া সুলতান কাবুস মসজিদ কমপ্লেক্সে আছে দ্বিতল পাঠাগার, যা ওমানের অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও। পাঠাগারে বিভিন্ন বিষয়ে ২৩ হাজার ৩৪২টির বেশি বই রয়েছে; প্রতিবছর যার পরিমাণ বাড়ছে। তথ্যসূত্র : ওমান অবজারভার