স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ২৬টি খালের দায়িত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে ওয়াসা, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে খালগুলো হাস্তান্তর করা হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ ঢাকাবাসীর জন্য ঐতিহাসিক দিন। আশা করি আসন্ন বর্ষায় ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে ওই কার্যক্রম সফল করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জিরানি খাল, শ্যামপুর খাল, মান্ডা খাল থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ওই তিনটি খাল এবং দুটি বক্স কালভার্ট থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করা হবে। আগামী মার্চের মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। পরে জুনের মধ্যে ডিএসসিসির কালুনগর খালসহ বাকি খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করা হবে।
তাপস বলেন, ডিএসসিসির খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করার পর খাল পাড়ের সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে ৯০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি পাস হলে নাগরিকরা তার সুবিধা পাবেন। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির অধীনে থাকা সবগুলো খাল তারাও পরিষ্কার করেছে। চলতি বছর নগরে জলাবদ্ধতা হবে। এছাড়া এসব খালের সৌন্দর্য বাড়াতে ডিএনসিসিও প্রকল্প নিয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান উপস্থিত ছিলেন।