রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকা থেকে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে খবর পেয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা একই পরিবারের সদস্য। নিহতরা হলেন, মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)।
কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ২৭৪/১, লালমিয়া সর্দার রোডের বাড়ির দোতালার ফ্ল্যাট থেকে ৩ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের হাত-পা বাঁধা ছিল। গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কি কারণে এবং কিভাবে হত্যা করা হয়েছে-তা তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কদমতলী থানার ওসি আরও জানান, ওই দম্পতির আরেক মেয়ে মেহেজাবিন মুন। ধারনা করা হচ্ছে, এ হত্যার পেছনে তাদের কন্যা মেহেজাবিন তার একমাত্র কন্যা সন্তান মারজান তাবাসসুম ও স্বামী শফিকুল ইসলামকেও বিষাক্ত কিছু খাওয়ায়। তবে তাদের মৃত্যু হয়নি। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অসুস্থ শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা কদমতলীর বাগানবাড়ি এলাকায়। গত রাত নয়টার দিকে পরিবারসহ তারা শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। রাতে তার স্ত্রী অনেক কিছু খেতে দেন। এরপরের ঘটনা সম্পর্কে উনি আর কিছুই জানেন না।
পুলিশের ধারণা, মারজানের মা মেহেজাবিন মুন রাতের যেকোনো সময় সবাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষাক্ত কিছু খাওয়ায়। তবে কী খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার বলেন, ‘মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯ এ ফোন দেন মেহজাবীন মুন। চায়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্বামী শহিদুল ও সন্তান তিপ্তীকে। ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পর সবার হাত পা বাঁধে মুন। মুন থাকেন আলাদা বাসায়। এখানে মায়ের বাসায় বেড়াতে আসেন তিনি। পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়।’
সূত্র জানায়, দুলাভাই শফিকের সাথে শ্যালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সাথে শহিদুল বিদেশে আর একটা বিয়ে করে। শ্যালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক মা-বাবা জানতো। কিন্তু বিচার না করায় ক্ষোভ থেকে এই হত্যা করেন মুন।