করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে তিনি টিকা নেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) করোনার টিকা নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (২ মার্চ) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও করোনোর টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মত্যে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে টিকা দেওয়া শুরু (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বুধবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন মোট ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ জন ও নারী ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯০ জন। টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৭৮৪ জনের।
রাজধানী ঢাকায় ৫০ হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টিসহ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করছে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
জানা যায়, প্রথম দফায় ৭০ লাখ টিকা এনেছে সরকার। এর মধ্যে ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। এরপর দ্বিতীয় চালানে আরও ২০ লাখ টিকা আনা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।