বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কলাবাগান মাঠে থানা নির্মাণ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ৯৩৬ পাঠক পড়েছে

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। থানার জন্য মেয়রকে বিকল্প জায়গা খোঁজার কথা বলা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডিসি জায়গাটি খাস জমি বলে চিহ্নিত করে বরাদ্দ দিয়েছে কলাবাগান থানাকে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে যখন ভবন নির্মাণ করতে যায়, তখন খেলার মাঠের দাবিতে…। আমাদের মেয়র বলেছেন, এই জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিতে। আমরা মনে করি, খেলার মাঠে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে এটাই স্বাভাবিক। খেলার মাঠ যেন থাকে, সে জন্য আমরা মনে করি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। মেয়রকে বলেছি, সবাইকে বলেছি বিকল্প একটা খোঁজার জন্য। যদি না হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও এটা অতীবও জরুরি। এটা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, কি করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়ে যেখানে খেলাধুলা করতাম, সেই অবস্থাটা এখন আর নেই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কষ্টবোধ করি। এর মূল কারণ, আমাদের নগরায়ণ, আমাদের জায়গা কম। কলাবাগান প্রসঙ্গ যখন আসে, আমরা যাই কিছু বলি গুরুত্বের দিক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা বড় দায়িত্ব থাকে। আমরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে সবকিছু মুখ থুবড়ে পড়বে। কলাবাগান থানা ভবন দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা। ভাড়া ভবনে থানা পরিচালনা হচ্ছে।

মা-ছেলেকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাকে সন্ধ্যার পরে অনেকেই ফোন করেছিল। আমি ঘটনার যতটুকু জেনেছি এইটুকু হচ্ছে, তারা লাইভ ভিডিওতে এসে অনেক কিছু প্রচার করছিল। সেগুলো নাকি একটু অসংগতিপূর্ণ। সে জন্য বারবার নিবৃত্ত করার পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন থামাতে পারেনি, তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার সকালে সৈয়দা রত্না ফেসবুক লাইভে গিয়ে কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে সবার দৃষ্টি কামনা করছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকধারী এবং পোশাকধারী পুলিশ তাকে লাইভ করতে নিষেধ করেন। এরপর ওই পুলিশ সদস্যরা তার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নেন।

তখন থানা পুলিশ জানায়, নির্মাণকাজে বাধা ও ঠিকাদারকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো অপরাধ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আটকের ১২ ঘণ্টা পর রোববার রাতে সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না এবং তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580