ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন অভিযানে ৬ হাজার ২২৩টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ১৬টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪ হাজার ৩১৬টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। উত্তরা, মিরপুর-২, মহাখালী, মিরপুর-১০, কারওয়ান বাজার, হরিরামপুর, দক্ষিণ খান, উত্তর খান, ভাটারা, সাতারকুল অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মশার প্রকোপ কমছে না। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম মনে করেন, এভাবে মশা বৃদ্ধির পেছনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ডিএনসিসির চলতি মাসের মশক নিধন কর্মসূচির পঞ্চম দিনের কার্যক্রম পরিদর্শনে নগরীর ভাটারা এলাকায় এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে শনিবার সকাল ৮টায় ভাটারা থানার সামনের ১০০ ফুট সড়ক থেকে মশক নিধনে ক্রাশ কর্মসূচি শুরু করে ডিএনসিসি।
অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ মেয়র আতিকুল সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন। পরে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, দ্রুতই মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাচ্ছে না নগরবাসী। তবে উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাজধানীতে এখন কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। ফলে গত ৮ মার্চ থেকে আমরা মশা নিধনে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছি। এই অভিযানে এক হাজার ৪০০ মশক কর্মী একযোগে কাজ করছেন।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই অভিযানে দেখেছি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জলাশয়ে মশার প্রজনন বেশি। এসব জায়গা নিজ দায়িত্বে মালিককে পরিষ্কার রাখতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।’
দিনের বেলায় ফগার মেশিনের ব্যবহার নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে মেয়র আতিক বলেন, ‘মশা নিধন অভিযানটি কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শ অনুযায়ী চলছে।’ এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় এলাকার কাউন্সিলর।