আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে (গার্লস স্কুল) গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কমপক্ষে ৫৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে, যার বেশিরভাগই ওই স্কুলের শিক্ষার্থী। এছাড়া শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার (৮ মে) বিকেলে কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় ওই গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ঘটনায় তালেবানকেই দায়ী করছেন।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, কাবুলের সায়েদ উল সুহাদা নামের একটি স্কুলে শনিবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। স্কুলটাইম শেষে শিক্ষার্থীরা যখন বেরিয়ে আসছিলেন তখন এ বোমা হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান গণমাধ্যমকে জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং আরও অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। তবে স্কুলে বিস্ফোরণের উদ্দেশ্য কিংবা কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের সংখ্যা ৪০ বলা হলেও রয়টার্স ও গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো অন্তত ৫২ জন নিহতের খবর দিয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুলাম দস্তগীর নাজারি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৪৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সায়েদ উল সুহাদা নামের ওই স্কুলে বালক ও বালিকা মিলে তিন শিফটে ক্লাস চলে। এর মধ্যে দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস চলে মেয়েদের। নাজিবা আরিয়ান নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করে বলেন, হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুলছাত্রী।