ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর বিধি-নিষেধ আট দিন শিথিল করে সরকার। এর পর আবারও ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। আগামী ৫ আগস্ট এই বিধি-নিষেধ শেষ হবে। কিন্তু তার আগেই গতকাল শুক্রবার রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার।
কারখানা খুলে দেওয়ার ওই খবরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করা শ্রমিক-কর্মজীবীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামীকাল সোমবারই কাজে যোগ দিতে হবে তাঁদের। ফলে আজ তীব্র জনস্রোত তৈরি হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এগুলোর একটি। আজ ভোর থেকেই এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের তীব্র চাপ। নদী পারাপারের হিড়িক পড়েছে ফেরিতে। এসব যাত্রীর অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক।
শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ নৌরুটে সচল ৯টি ফেরিতে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। কেবল জরুরি ও বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটিতে ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীর চাপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে, শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছনো ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাক শ্রমিকরা পরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকার পথে আসছেন তারা। ফলে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের অনেকেই জানান, কারখানায় কাজে যোগ না দিলে তাঁদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাঁদেরকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি এখন সচল। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। ঘাটে যানবাহনের উপস্থিতিও নেই। গাড়ির চাপ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে, তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ খুব বেশি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা প্রত্যেক ফেরিতেই তীব্র চাপ। পোশাক কারখানা খুলছে, তাই হয়তো যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।