বিএম মহসিন, কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার বরুড়ার থানায় ৩২ বছর পালাতক থাকার পর অস্ত্র ও চুরি দুটি মামলায় ১০ বছর ৬ মাসের সাজা প্রাপ্ত ফেরারী আসামী গ্রেপ্তার করেছে বরুড়া থানার পুলিশ। মোস্তফা কামাল বরুড়া পয়ালগাছা গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র তাকে গ্রেপ্তার করতে দীর্ঘদিন চেষ্টার পর গত রবিবার রাতে বরুড়া উপজেলার সোনাইমুড়ি বাজারের দক্ষিণ পাশে রাস্তা থেকে এসআই মেহেদী হাসান সঙ্গীয় ফোর্স সহ মোঃ মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
থানা সূত্রে জানা যায় মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালে ২২শে জুন কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। মামলা নাম্বার ৫০,তাং- ২২/০৬/১৯৯৫, জিআর ২৯০/৯৫।। ঐ মামলায় মোস্তফা কামাল গুরুপ্তপূর্ন আসামী ছিল কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে হাজির না হওয়ায় পালাতক থাকায় ১৯৯৯ সালে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে ১০ বছরের সাজা প্রদান করে। গত ২১ বছর যাবত বরুড়া থানায় সাজা প্রাপ্ত মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাকে গেপ্তার করা সম্ভব হয় নি। অস্ত্র মামলা ছাড়াও মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ১৯৮৭ সালে চোরাই মাল সংরক্ষণের দায়ে আরো একটি মামলা হয় ঐ মামলায় ১৯৮৮ সালে বিজ্ঞ আদালত ৬ মাসের সাজা প্রদান করেন।
দীর্ঘ ৩২ বছর পর বরুড়া থানার চৌকুস পুলিশ অফিসার এসআই মেহেদী হাসান মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ বিষয়ে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন গুরুপ্তপূর্ণ দুইটি সাজা ওয়ারেন্ট তামিল করতে আমার অফিসার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। প্রায় তিন যুগ পর সাজা ওয়ারেন্ট তামিল করতে সক্ষম হয়েছে আমরা সাধারণ জনগনের জানমালের নিরাপওা দিতে সকল সময় বদ্ধপরিকর। বরুড়ার সাধরণ জনগন পুলিশের পাশাপাশি জনসার্থে এগিয়ে আসলে বরুড়া উপজেলার মানুষ শান্তিতে নিরাপদে বসবাস করতে বরুড়া থানা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সকল সময় অব্যাহত আছে।