নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ্ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬) গুলি করে ও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নুরনবী চৌধুরী উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং একই এলাকার মৃত ফজলের রহমানের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান অভিযোগ করে বলেন, কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারী বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সন্ত্রাসী রাসেল প্রকাশ কেচ্ছা রাসেল আজ সকালে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পৌরসভার মাস্টার পাড়া এলাকায় ওৎপেতে ছিল।
নুরনবী চৌধুরী মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে ভিজিএফ এর চাল আনার জন্য উপজেলা পরিষদের দিকে যাবার পথে পৌরসভার মাস্টার পাড়া এলাকায় পৌঁছালে ওৎপেতে থাকা কেচ্ছা রাসেল ও তার ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল হামলা করে।
এ সময় তাকে বাম পায়ে গুলি করা হয় এবং পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। হামলাকারীরা নুরনবীর ডান পা ভেঙে দেয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ফোন করা হলে তার সহকারী পরিচয় দিয়ে স্বপন মাহমুদ বলেন, মেয়র মহোদয় অসুস্থ, তিনি রেস্টে আছেন। হামলার বিষয়ে মেয়র কিছুই জানেন না।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, তিনি বাম পায়ের হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং ডান পা ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, নুরনবী চৌধুরী হামলায় আহত হয়েছেন। সেখানে এক রাউন্ড গুলি হয়েছে বলে শুনেছি।