বিদেশি চ্যানেলের ‘ক্লিন ফিড’ বা বিজ্ঞাপনহীন সম্প্রচার বাস্তবায়নে বুধবার থেকে আবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা আজকেও সময় দিচ্ছি। আমাদের আশেপাশে দেশগুলো অনেক সিরিয়াস।”
দেশের স্বার্থ রক্ষায় ক্লিনফিড সম্প্রচার বা বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না বলে জানান তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “বিদেশী চ্যানেলের ক্লিনফিড আসা সত্বেও যারা চালাচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু হবে। এ বিষয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
দেশের স্বার্থে এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবার মঙ্গলের জন্য ক্লিনফিড কার্যকর করতেই হবে বলে আবারো জোর দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এর আগে দেশে সম্প্রচারিত কোনো বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবেনা- তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা কার্যকর হয়।
বেসরকারি টেলিভিশন মালিক ও কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবি কার্যকর হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। ১ অক্টোবর, শুক্রবার বিজেসি চেয়ারম্যান ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তাপ্রধান রেজোয়ানুল হক রাজা এবং বিজেসি সদস্য সচিব ও একাত্তর টিভির বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইনে এই বিধান থাকলেও এর আগে কখনোই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাহসী এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি। এতে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে’। আরও সুফল পেতে অবিলম্বে গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়ন এবং এই শিল্পের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
১ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে, এমন বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ দর্শক। আবার বিষয়টি নিয়ে অনেকটা সরকার এবং ক্যাবল অপারেটরদের মুখোমুখি অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।